أحمد محمد لبن Ahmad.M.Lbn مؤسس ومدير المنتدى

عدد المساهمات : 41855 العمر : 70
 | موضوع: মুহার্রাম মাস এবং মুসলিম সমাজ (Bengali) الجمعة 14 سبتمبر 2018, 6:24 am | |
| মুহার্রাম মাস এবং মুসলিম সমাজ (Bengali)
شهر الله المحرم والمجتمعات الإسلامية
প্রণয়নেঃ
ডঃ মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ
প্রথম সংস্করণ
সন 1436 হিজরী {2014 খ্রীষ্টাব্দ }
সর্বস্বত্ব গ্রন্থকার কর্তৃক সংরক্ষিত
بسم الله الرحمن الرحيم
অনন্ত করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে
الحمد لله رب العالمين, والصلاة والسلام على خاتم الأنبياء والمرسلين, وعلى آله وأصحابه, وأتباعه, أما بعد:
অর্থঃ সকল প্রশংসা সব জগতের সত্য প্রভু আল্লাহর জন্য, এবং শেষ নাবী ও রাসূল, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ ও তাঁর অনুসরণকারীগণের জন্য অতিশয় সম্মান ও শান্তি অবতীর্ণ হোক।
অতঃপর মুহার্রাম মাস একটি মহান মাস এবং মহাকল্যাণময় মাস, এই মাসটি ইসলামী হিজরী সনের প্রথম বা পয়লা মাস; তাই রমাজান মাসের পর শ্রেষ্টতর রোজা হলো মুহার্রাম মাসের রোজা, অতএব এই মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখার মহামর্যাদা রয়েছে। সুতরাং এই বিষয়ে অনেক সঠিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সেই হাদীসগুলির মধ্যে থেকে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: "أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ, شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ".
( صحيح مسلم, رقم الحديث 202- (1163),).
অর্থঃ আবু হুরায়রা [-رضي الله عنه-] থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] বলেছেনঃ “রমাজান মাসের পর শ্রেষ্টতর রোজা হলো মুহার্রাম মাসের রোজা এবং ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্টতর নামাজ হলো রাত্রিকালের নামাজ”।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 202 - (1163)।
আশূরার রোজার মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] এর অনেক সঠিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে থেকে এখানে একটি হাদীসের অংশবিশেষ উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ أَبِيْ قَتَاَدَة الأنصاري -رضي الله عنه- أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ؛ فَقَالَ: "يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ".
( صحيح مسلم, جزء من رقم الحديث 197- (1162),).
অর্থঃ আবু কাতাদা আল্ আনসারী [-رضي الله عنه-] থেকে বর্ণিত ... যে, আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] কে আশূরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাই তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “আশূরার দিনের একটি রোজা এক বছরের ছোট পাপসমূহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়”।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 197 - (1162) এর অংশবিশেষ)।
আশূরার দিনে একটি রোজার মাধ্যমে পূর্ণ এক বছরের ছোটো পাপগুলি মহান আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, এটা মহান আল্লাহর একটি অসীম করুণা। তাই আল্লাহর নাবী [-صلى الله عليه وسلم-] এই আশূরার দিনে স্বয়ং রোজা রেখেছেন এবং মুসলিম জাতিকে এই আশূরার দিনে রোজা রাখার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন। (এই বিষয়ে সহীহ বুখারী, হাদীস নং 3831, 4504 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 113-(1125), দেখা যেতে পারে।
তবে আরও একটি কথা জেনে রাখা দরকার যে, ইহুদি এবং খ্রিষ্টানরা এই আশূরার দিনটি মহামর্যাদাপূর্ণ দিবস হিসেবে পরিগণিত করে থাকে বলে আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] আশা পোষণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, আগামী বছর ইন্ শাআল্লাহ আমরা নয় তারিখে রোজা রাখবো, কিন্তু আগামী বছর আসার পূর্বেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। এই বিষয়কে লক্ষ্য করে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما يَقُوْلُ: حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَوْمَ عَاشُورَاءَ, وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ؛ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ! إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى؛ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: "فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ, صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ". قَالَ: فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-.
( صحيح مسلم, رقم الحديث 133- (1134),).
অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] যখন আশূরার রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরকে রোজা রাখার উপদেশ প্রদান করলেন, তখন সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা এই দিনটির অতিশয় সম্মান করে থাকে; তখন আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] বললেনঃ “আগামী বছর ইন্ শাআল্লাহ আমরা মুহার্রাম মাসের নয় তারিখে রোজা রাখবো”।
বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর আগামী বছর আসার পূর্বেই আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] ইহলোক ত্যাগ করেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 133 - (1134)।
এই বিষয়ে অন্য একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, আর তা হলো এই যে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسِ رضي الله عنهما, قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم-: " لَئِنْ بَقِيْتُ إِلَى قَابِلٍ لَأَصُوْمَنَّ التَّاسِعَ".
( صحيح مسلم, رقم الحديث 134- (1134),).
অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] বলেছেনঃ “আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে অবশ্যই মুহার্রাম মাসের নয় তারিখে রোজা রাখবো”।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 134 - (1134)।
আল্লাহর নাবী মুসা আলাই হিস্ সালাম আশূরার দিনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য রোজা পালন করেছিলেন।
এই ক্ষেত্রে অনেক সঠিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে থেকে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما: أَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَدِمَ الْمَدِينَةَ؛ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ؛ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: "مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي تَصُومُونَهُ"؟ فَقَالُوا: هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ أَنْجَى اللَّهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ, وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ؛ فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا؛ فَنَحْنُ نَصُومُهُ؛ فَقَالَ رَسُولُ اللَّه -صلى الله عليه وسلم-: "فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ"؛ فَصَامَهُ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ.
( صحيح مسلم, رقم الحديث 128- (1130) وصحيح البخاري, رقم الحديث 3397, واللفظ لمسلم).
অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] মদিনায় আগমন করেছিলেন অতঃপর ইহুদিদেরকে দেখতে পেয়েছিলেন যে, তারা আশূরার দিনে রোজা রাখছে; তখন তিনি তাদেরেকে বলেছিলেনঃ “এটি কোন্ দিন যে, এতে তোমরা রোজা পালন করছো? তারা উত্তরে বললঃ এটি একটি মহামর্যাদাপূর্ণ দিবস! এই দিবসে মহান আল্লাহ মুসা আলাই হিস্ সালাম কে ও তাঁর জাতিকে পরিত্রাণ দান করেছেন। এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করেছেন। তাই মুসা আলাই হিস্ সালাম মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য রোজা পালন করেছিলেন। সুতরাং মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়স্বরূপ আমরাও রোজা পালন করি। এর উত্তরে আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] ইহুদিদেরকে বললেনঃ মুসা আলাই হিস্ সালাম এর অনুসরণের ব্যাপারে আমরা তোমাদের চেয়ে অধিকতর হকদার এবং উপযোগী। অত:পর আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] স্বয়ং নিজে রোজা রেখেছেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 128-(1130) এবং সহীহ বুখারী, হাদীস নং 3379, তবে হাদীসের শব্দগুলি সহীহ মুসলিম থেকে নেওয়া হয়েছে)।
অতএব মুসলিম জাতির জন্য আশূরার দিনে রোজা রাখা একটি নফল ইবাদত বা উপাসনা।
আশূরার রোজা রাখার সঠিক নিয়মঃ
উল্লিখিত হাদীসগুলির আলোকে বলা যেতে পারে যে,
1- মুহার্রাম মাসের 9 এবং 10 তরিখে রোজা রাখা উত্তম।
2- মুহার্রাম মাসের শুধু 10 তারিখেও রোজা রাখতে পারা যায়।
3- কোনো কোনা বর্ণনায় এসেছে যে, মুহার্রাম মাসের 9, 10 এবং 11 তরিখ রোজা রাখতে পারা যায়। (তবে আশূরার রোজা হিসেবে মুহার্রাম মাসের 11 তারিখে রোজা রাখার হাদীসটির মধ্যে একটু দুর্বলতা রয়েছে)।
মুহার্রাম মাসে মুসলিম সমাজের অবস্থা
মুহার্রাম মাসে মুসলিম সমাজ দুই ভাগে বিভক্তঃ
মুহার্রাম মাসে মুসলিম সমাজের প্রথম ভাগের অবস্থাঃ
প্রথম ভাগের মুসলিম জাতি মুহার্রাম মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মুহার্রাম মাসের দশ তারিখে আশূরার রোজা রাখেন। আবার কোনো কোনো মুসলিম ব্যক্তি মুহার্রাম মাসের 10 তারিখের সাথে সাথে 9 এবং 11 তরিখেও রোজা রাখেন। অর্থাৎ মুহার্রাম মাসের দশ তারিখের আশূরার রোজার এক দিন পূর্বে ও এক দিন পরেও রোজা রাখেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] এর অনুসরণ করে থাকেন। এবং তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, প্রকৃত ইসলামের আলোর দ্বারা সমাজের সকল প্রকার অন্ধকার দূর করা সম্ভব। কেননা প্রকৃত ইসলাম ধর্মে মুসলিম এবং অমুসলিমের প্রতি জুলুম বা অত্যাচার করা সব সময়ের জন্য অবৈধ। আর অত্যাচারীদের পরিণাম সব সময়ের জন্য ধ্বংসনীয়। তাই ফেরাউন ও তার জাতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
মুহার্রাম মাসে মুসলিম সমাজের দ্বিতীয় ভাগের অবস্থাঃ
দ্বিতীয় ভাগের মুসলিম জাতি মুহার্রাম মাসে আশূরার দিনে বা তার পূর্বে ও পরে ক্রন্দন, মাতম, তাজিয়া, শোক মিছিল, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি খেলার কাজ সম্পাদন করে থাকেন। এবং এই সমস্ত কর্মের দ্বারা তাঁরা নিজেদের পাপের ক্ষমা এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভ করার চেষ্টা করে থাকেন। মুহার্রাম মাসে মুসলিম সমাজের দ্বিতীয় ভাগের মুসলিমগণের এই হলো প্রকৃত অবস্থা।
মুহার্রাম মাসের বিষয়ে প্রকৃত ইসলামের বিধি-বিধানঃ
পবিত্র কুরআন ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের আলোকে মুহার্রাম মাসের আশূরার দিনে বা তার পূর্বে ও পরে ক্রন্দন, মাতম, তাজিয়া, শোক মিছিল, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি খেলার কাজ সম্পাদন করার সঠিক প্রমাণ প্রকৃত ইসলাম ধর্মে পাওয়া যায় না। সুতরাং এই সমস্ত কর্ম প্রকৃতপক্ষে ইসলামের আওতায় পড়ছে না। তাই মুহার্রাম মাসের আশূরার দিনে বা তার পূর্বে ও পরে যে সব কর্ম সংঘটিত হচ্ছে তার দায়ী তথাকথিত ইসলামের অনুসরণকারীগণ, প্রকৃত ইসলামের অনুসরণকারীগণ নন।
মুসলিম সমাজে ইসলামের দোহাই দিয়ে মুসলিম জাতির একাংশ মানুষ প্রকৃত ইসলাম ধর্মে এমন কতকগুলি বস্তু যুক্ত করেছেন, যেগুলি প্রকৃত ইসলাম ধর্মে নেই। তাই মুহার্রাম মাসের আশূরার দিনে বা তার পূর্বে ও পরে যে সমস্ত বিদআতী কর্ম সংঘটিত হয় তা বর্জনীয়। কেননা প্রকৃত ইসলাম ধর্মে মুহার্রাম মাসে মাতম, তাজিয়া লাঠি ইত্যাদি খেলার প্রমাণ নেই। সুতরাং এই সব অপকর্ম বর্জন করে প্রকৃত ইসলামের অনুগামী হওয়া উচিত এবং সকল প্রকার শির্ক, বিদআত ও কুফুরী বা অপকর্ম পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
মহান আল্লাহ বেলেছেনঃ
أمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ) سورة الشورى, جزء من الآية ٢١ ) .
ভাবার্থের অনুবাদঃ “প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা সত্য উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত তাদের এমন কতকগুলি উপাস্য আছে কি? যারা তাদের জন্য এমন ধর্ম ও বিধি-বিধানের প্রবর্তন করেছে, যে ধর্ম ও বিধি-বিধানের সত্য উপাস্য আল্লাহ অনুমতি প্রদান করেন নি”।
(সূরা আশ্ শূরা, আয়াত নং 21 এর অংশবিশেষ)। এই বিষয়কে লক্ষ্য করে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم-: "مَنْ أَحْدَثَ فِيْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ".
(صحيح البخاري, رقم الحديث 2697, وأيضاً: صحيح مسلم, رقم الحديث 17- (1718) ).
অর্থঃ নাবী কারীম [-صلى الله عليه وسلم-] এর প্রিয়তমা আয়েশা [رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল [-صلى الله عليه وسلم-] বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমাদের এই ইসলাম ধর্মের মধ্যে এমন নতুন কোনো বিষয় ধর্মের কর্ম হিসেবে সংযুক্ত করবে, যে বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অংশ নয়, তাহলে সে বিষয়টি পরিত্যাজ্য বলেই বিবেচিত হবে”।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং 2697 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 17-(1718)।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ধর্ম; তাই এই ধর্মের কোনো বিষয়ে কিছু কম কিংবা বেশি করার অবকাশ নেই। এবং ইসলাম ধর্মের মধ্যে নতুন কোনো বিষয় ধর্মের কর্ম হিসেবে সংযুক্ত করাটা মুসলিমগণের অধপতনের একটি বড়ো কারণ। কেননা এটা তাদেরকে প্রকৃত ইসলাম থেকে দূরীভুত করে দেয়।
জেনে রাখা দরকার যে, আলোক থাকলে আমাদের চক্ষু দেখতে পায়। বুদ্ধি থাকলে জ্ঞানলাভ করতে পারা যায়। এবং প্রকৃত ইসলামের সঠিক অনুগামী হতে পরলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভ করা যায়। কিন্তু প্রকৃত ইসলামের আওতার বাইরে কর্ম সম্পাদন করলে আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভ করা যায় না। মুসলিম জাতি যখন পবিত্র কুরআন এবং সঠিক হাদীসের আলোকে জীবন যাপন করতে পারবে, তখন সে আনন্দময় জীবনলাভ করতে সক্ষম হবে এবং পৃথিবীর মানুষকে সুখদায়ক ধর্ম ইসলামের পথ প্রদর্শন করতে পারবে।
وصلى الله وسلم على رسولنا محمد, وعلى آله وأصحابه, وأتباعه إلى يوم الدين, والحمد لله رب العالمين.
অর্থঃ আল্লাহ আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর অনুসরণকারীগণকে অতিশয় সম্মান ও শান্তি প্রদান করুন।
প্রণীত তারিখ 10/1/1436 হিজরী মোতাবেক 3/11/2014 খ্রীষ্টাব্দ। ডঃ মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ
সমাপ্ত
| |
|